গর্ভকালীন মায়ের খাবার তালিকা- গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা (খাদ্য ও পুষ্টি)

 গর্ভকালীন মায়ের খাবার-একটি মেয়ের কাছে  স্পেশাল সময় হচ্ছে তার‌ গর্ভকালীন সময়। এ সময় একটি মেয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হতে পারে। শারীরিক মানসিক পরিবর্তন ঘটতে পারে। যার কারণে এই সময় একজন গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজন হয় বিশেষ যত্ন। খাবার ঘুম চলাফেরা সকল দিক থেকে তাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। বিশেষ করে খাবারের ক্ষেত্রে বেশি যত্নশীল হতে হয়। কারণ একজন মায়ের গর্ভকালীন সময় সুষম খাদ্য গ্রহণ করা অতীব জরুরি।

কিছু বিবেচনা না করে স্ত্রীকে এনে দেন। সেসব খাবার কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় সব খাবার খাওয়া গর্ভবতী নারীদের জন্য মোটেও উচিত নয়। সম্প্রতি মার্কিন স্নায়ু ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর নিকল আভেনা জানিয়েছেন, কোন কোন খাবার খেলে গর্ভবতী নারী ও তার অনাগত সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যে সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে.  যষ্টিমধু চিকিৎসা সম্পর্কিত মার্কিন ম্যাগাজিন “আমেরিকান জার্নাল অফ ইপিডেমিয়লজি”এতে বলা হয় গর্ভা অবস্থায় যষ্টি মধু খেলে অনাকত সন্তানের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় যেসব নারী যষ্টি মধুর রস গ্রহণ করেন তাদের বুদ্ধির মাত্রা অর্থাৎ আইকিউ লেভেল অন্তত ৭ পয়েন্ট কমে যায়।  অংকুর জাতীয় খাদ্য কোন সন্দেহ নেই গর্ভাবস্থায় সবুজ শাকসবজি গ্রহণ করা উত্তম। তবে তা হজম যোগ্য কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে গর্ভা অবস্থায় যারা অংকুর বা গন্ধ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে থাকেন তারা এখন থেকে সেগুলো কাঁচা অবস্থায় না খেলেই ভালো করবেন। যেমন রসুন, মূলা, পেঁয়াজ ইত্যাদি যদি এসব খাদ্য খেতে হয় তবে রান্না করে খাবার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার নিকল আভেনা।  কাঁচা অথবা আধা পাকা পেঁপে কাঁচা অথবা আধা পাকা পেঁপে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। কাঁচা পেঁপেতে লাটেক্স নামক একটি উপাদান আছে যা গর্ভপাতের মত ঘটনা ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন পেঁপে পাকলে খাওয়া যাবে। তবে সেটিও গাছ পাকা হতে হবে।বর্তমানে বেশিরভাগ সময় পেঁপের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো হয়। এসব পাকা পেঁপেও ক্ষতিকর।  অনেকেই বলেন  গর্ভা অবস্থায় কাঁচা পেঁপে খেলে কোন সমস্যা হয় না। এমনটা হতেই পারে। কাঁচা পেঁপে খেলে সমস্যা হবেই তা নয়। কিন্তু এর ফলে ঝুঁকি রয়ে যায়। তাই গর্ভের সন্তানের কথা চিন্তা করে এই ঝুঁকি না নেওয়াই উচিত। তাই গর্ভাবস্থায় সব ধরনের পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এমনকি রান্না করেও না।  খরমুজ পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে ভাঙ্গি তরমুজ বা খরমুজের মতো রসালো ফল উত্তম। তবে সেটা গর্ভবতী নারীদের জন্য কতটা উত্তম সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। কেননা মার্কিন স্ত্রীর রোগ বিশেষজ্ঞের মতে এমন সময় যতটা সম্ভব খরমুজ জাতীয় ফল এড়িয়ে চলা উচিত। খরমুজে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে যা গর্ভের সন্তানের জন্য মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এমনকি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।  কাঁচা ডিম ও দুধ কাঁচা বা কম সিদ্ধ করার ডিম ও ফুটানো ছাড়া দুধ খাওয়া ঠিক না। এগুলো থেকে জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডিম প্রোটিনের প্রধান উৎস। গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি ডিম রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কাচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচা ডিমে আছে শালমনেরা নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার যা জ্বর, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়ার মত রোগের কারণ হতে পারে। ডিম ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে যাতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়।


গর্ভকালীন সময়ে মা যদি পুষ্টিকর খাবার খায় তাহলে বাচ্চার দৈহিক এবং মানসিক বিকাশ সুষ্ঠু উপায়ে ঘটবে। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা পুষ্টিতে ভরপুর হওয়া উচিত। গর্ভকালীন সময়ে একজন মা যদি স্বাস্থ্যকর সুসময় এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খায় তাহলে তার বাড়তি পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত হবে। এতে করে গর্ভের শিশুর সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।

আপনি কি গর্ভকালীন সময় আপনার খাদ্য তালিকা নিয়ে চিন্তিত? ভাবছেন গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা কিভাবে তৈরি করবেন?  সম্মানিত ভিজিটর বন্ধুরা আজকে আর্টিকেলে সকলকে জানাচ্ছি স্বাগতম। অনেকেই গর্ভকালীন সময় মায়ের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করতে কি খাবার খাওয়া উচিত সে অনুযায়ী খাদ্য তালিকায় তৈরি করতে বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকেন। তাদের জন্য আজকে আমাদের আর্টিকেলে তুলে ধরা হবে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা।

গর্ভবতী মায়ের অন্যান্য মানুষের তুলনায় প্রয়োজন অধিক পুষ্টি যাকে তার নিজের শরীরের গোষ্ঠী চাহিদা পূরণ করে বাড়তি পুষ্টি বাচ্চার শরীরে সঠিক বিকাশ সাধনে সহায়তা করে। তাই গর্ভবতী মায়ের সার্বিক পুষ্টি চাহিদার কথা মাথায় রেখে আজকের আর্টিকেলের গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করব।গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ে আমাদের সাথে থাকবেন।

গর্ভকালীন মায়ের খাদ্য ও পুষ্টি

গর্ভকালীন সময়ে একজন মায়ের খাদ্য তালিকায় সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার রাখা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শরীর বাড়তি পুষ্টির প্রয়োজন পরে। মা যদি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে তাহলে সন্তানের শারীরিক ও মানসিক উপযুক্ত বিকাশ ঘটবে। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। তবে প্রতিদিন এখন সবার গ্রহণ করার ফলে খাবারের আসতে পারে। তাই একেক সময় একেক ধরনের খাবার খেতে হবে যাতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়।

*ডিম একটা।

*সবজি ইচ্ছা মত।

সকাল ১০ থেকে ১১ টা

*দুধ এক কাপ।

*যে কোন নাস্তা ৬০ গ্রাম+ফল।

দুপুরের খাবার

*ভাত ৩৬০ গ্রাম=তিন কাপ।

*মাছ/ মাংস 100 গ্রাম।

*ডাল এক কাপ, ঘন।

*সবজি ইচ্ছামতো।

বিকালের নাস্তা

*দুধ অথবা দুধের তৈরি নাস্তা ৬০ গ্রাম।

অথবা

* ডালের তৈরি নাস্তা ৬০ গ্রাম।

রাতের খাবার

*দুপুরের মত।

*ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ।

 

গর্ভকালীন মায়ের খাবার

গর্ভকালীন সময়ে একজন মাকে যে সমস্ত খাবার তার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে সেগুলো হচ্ছে;

প্রোটিন বা আমিষ

প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে দৈনিক ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম। অর্থাৎ অন্য ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি।

এই পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায় মাঝারি আকারের তিন টুকরো মাংস থেকে। প্রোটিন আসতে পারে মাছ, মাংস, ডিম ,দুধ,ডাল ,বাদাম, শিমের বিচি থেকে।

প্রোটিন গর্ভস্থ শিশুর কোষ ও মস্তিষ্কের সঠিক গঠনে সহায়তা করে। মায়ের স্তন কোষ বাড়ায়। শ্রেণী চক্রকে সন্তান জন্মদানে উপযোগী করে।

ফ্যাট বা চর্বি

ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার শক্তির ভালো উৎস। এগুলোতে চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন কে কাজে লাগায়।

আর এইসব ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক গঠন নিশ্চিত করে। চর্বি পাওয়া যায় ঘি মাখন তেল মাংসের চর্বি থেকে।

কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা

শর্করা জাতীয় খাবার ও শরীরে শক্তি যোগায়। শর্করা পাওয়া যায় ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি, খই, আলু, চিনি, মিষ্টি ও গুড় থেকে।অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলতে হবে।

ক্যালসিয়াম

নবজাতক শিশুর হার গঠনে গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে খাবারে ক্যালসিয়াম বেশি আছে এমন খাদ্য বাড়াতে হবে।

দুধ ও দুগ্ধ জাত সামগ্রী ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তবে দুধ বেশি খেতে না পারলে ডাল ছোট মাছ ইত্যাদি খেয়েও ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটানো যায়।

গর্ভকালীন দৈনিক 1000 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।

ভিটামিন

ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শিশুর দেহ গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া গর্ভকালীন রক্তপাতের আশঙ্কা থাকে বলে গর্ভের শেষ দিকে ভিটামিন কে খুবই প্রয়োজন।

শিশুর হাড় গঠনের জন্য ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন ডি প্রয়োজন। কারণ এই ভিটামিন খাদ্যের ক্যালসিয়ামকে শোষণ করতে সাহায্য করে।

কিছু বিবেচনা না করে স্ত্রীকে এনে দেন। সেসব খাবার কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় সব খাবার খাওয়া গর্ভবতী নারীদের জন্য মোটেও উচিত নয়। সম্প্রতি মার্কিন স্নায়ু ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর নিকল আভেনা জানিয়েছেন, কোন কোন খাবার খেলে গর্ভবতী নারী ও তার অনাগত সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যে সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে.

যষ্টিমধু

চিকিৎসা সম্পর্কিত মার্কিন ম্যাগাজিন “আমেরিকান জার্নাল অফ ইপিডেমিয়লজি”এতে বলা হয় গর্ভা অবস্থায় যষ্টি মধু খেলে অনাকত সন্তানের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় যেসব নারী যষ্টি মধুর রস গ্রহণ করেন তাদের বুদ্ধির মাত্রা অর্থাৎ আইকিউ লেভেল অন্তত ৭ পয়েন্ট কমে যায়।

অংকুর জাতীয় খাদ্য

কোন সন্দেহ নেই গর্ভাবস্থায় সবুজ শাকসবজি গ্রহণ করা উত্তম। তবে তা হজম যোগ্য কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে গর্ভা অবস্থায় যারা অংকুর বা গন্ধ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে থাকেন তারা এখন থেকে সেগুলো কাঁচা অবস্থায় না খেলেই ভালো করবেন। যেমন রসুন, মূলা, পেঁয়াজ ইত্যাদি যদি এসব খাদ্য খেতে হয় তবে রান্না করে খাবার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার নিকল আভেনা।

কাঁচা অথবা আধা পাকা পেঁপে

কাঁচা অথবা আধা পাকা পেঁপে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। কাঁচা পেঁপেতে লাটেক্স নামক একটি উপাদান আছে যা গর্ভপাতের মত ঘটনা ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন পেঁপে পাকলে খাওয়া যাবে। তবে সেটিও গাছ পাকা হতে হবে।বর্তমানে বেশিরভাগ সময় পেঁপের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো হয়। এসব পাকা পেঁপেও ক্ষতিকর।

অনেকেই বলেন  গর্ভা অবস্থায় কাঁচা পেঁপে খেলে কোন সমস্যা হয় না। এমনটা হতেই পারে। কাঁচা পেঁপে খেলে সমস্যা হবেই তা নয়। কিন্তু এর ফলে ঝুঁকি রয়ে যায়। তাই গর্ভের সন্তানের কথা চিন্তা করে এই ঝুঁকি না নেওয়াই উচিত। তাই গর্ভাবস্থায় সব ধরনের পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এমনকি রান্না করেও না।

খরমুজ

পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে ভাঙ্গি তরমুজ বা খরমুজের মতো রসালো ফল উত্তম। তবে সেটা গর্ভবতী নারীদের জন্য কতটা উত্তম সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। কেননা মার্কিন স্ত্রীর রোগ বিশেষজ্ঞের মতে এমন সময় যতটা সম্ভব খরমুজ জাতীয় ফল এড়িয়ে চলা উচিত। খরমুজে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে যা গর্ভের সন্তানের জন্য মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এমনকি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

কাঁচা ডিম ও দুধ

কাঁচা বা কম সিদ্ধ করার ডিম ও ফুটানো ছাড়া দুধ খাওয়া ঠিক না। এগুলো থেকে জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডিম প্রোটিনের প্রধান উৎস। গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি ডিম রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কাচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচা ডিমে আছে শালমনেরা নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার যা জ্বর, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়ার মত রোগের কারণ হতে পারে। ডিম ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে যাতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url