ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী)

 ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার-ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এমন একটি খনিজ যা মানব দেহের হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানবদেহে দৈনিক ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় যা বিভিন্ন খাবার থেকে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ওষুধ থেকে পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম মানব দেহের পাশাপাশি দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের ফলে অনেক সময় ক্যালসিয়াম শুকিয়ে যায়।  *শরীরের যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দেয়। কারণ ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।  *অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করার ফলে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে।  *শারীরিক দুর্বলতা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়ার অন্যতম কারণ।  *অতিরিক্ত মেদ, চিনিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, প্রোটিন ডায়েট, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সৃষ্টি করে থাকে।  *ক্রীড়াবিদ নারীদের মনোপোজের সময় বেশি ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়।  *মিহি শস্য, মাইট ইত্যাদিতে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয়।  *বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল, তামাক, অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়ামের অভাব হতে পারে।  ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত চিকিৎসা একজন চিকিৎসক প্রথমে ক্লিনিক্যালি বিভিন্ন উপস্থাপনা এবং রক্ষণাবলির উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একজন ব্যক্তির ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত সমস্যার নির্ণয় করতে হলে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় যার মধ্যে রয়েছে সীরাম ক্যালসিয়াম, প্যারাথাইরয়েড হরমোন, সিরাম ফসফেট, ম্যাগনেসিয়াম, ২৫ হাইড্রক্সি,  ভিটামিন ডি এবং ১,২৫ ডাইহাইড্রোক্সি ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা। অনেক সময় দেখা যায় চিকিৎসকরা ক্যালসিয়াম সেন্সিং রিসেপ্টরের জি প্রোটিন সাব ইউনিট অ্যালফা ১১ র জেনেটিক মিউটেশনের পরীক্ষা করাতে বলেন।


এছাড়াও বেশি ধমনীর সংকোচন ও স্নায়ুতন্ত্রের বার্তা সরবরাহ করতেও ক্যালসিয়াম সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে। হৃদপিন্ডের বিভিন্ন অঙ্গে ক্যালসিয়াম প্রয়োজনীয়। হাড়ের কাঠামো ও বেশি গুলোকে সচল রাখতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অনেক। ভিটামিন এ ডি ই এবং কে ক্যালসিয়ামের সাহায্যে শরীরে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত কারণে মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এসব সমস্যাগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব যথাসময়ে পূরণ না করা হয়। তাই ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে এমন দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম জোগাতে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য বেশি বেশি খেতে হবে।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গুলো কি কি? ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গুলো খেলে শরীরে  কি ধরনের  উপকার হবে? এই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করে থাকেন তাদেরকে বলব আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নিন। ক্যালসিয়াম দেহের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করার পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের কাজ করে থাকে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেলে দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়।তবে আমাদের অনেকেরই অজানা রয়েছে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গুলো কি কি। কোন খাবার খেলে শরীর সঠিকভাবে ক্যালসিয়াম পাবে। সম্মানিত ভিজিটর বন্ধুরা এ সকল বিষয়গুলো আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ে আমাদের সাথে থাকুন।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে দেহে হাড় ক্ষয়জনিত রোগ দেখা দিতে পারে। হাড় ক্ষয়ের কারণে উঠতে বসতে সমস্যা, হাঁটতে গেলে কষ্ট হয় এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ক্যালসিয়ামের অভাবে জটিল ধরনের রোগের আবির্ভাব ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

দেহের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই।ক্যালসিয়ামের একটা উর্ধ্বসীমা রয়েছে যা খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ না করে সম্পর্কের মাধ্যমে বাড়তি ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের চারপাশে ক্যালসিয়াম যুক্ত অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যা দেহের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।

ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা দাঁত ও হাড়ের গঠনে সহায়তা করে। এক কাপ সিদ্ধ পালং শাকে দৈনিক ক্যালসিয়ামের ২৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে। এছাড়াও পালং শাকই রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং আয়রন যা শরীরের হাড় ভালো রাখার পাশাপাশি পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে।

শুকনো ফল

বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল, খেজুর, বাদাম এইসব ধরনের খাবারেও পাওয়া যাবে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা আপনার হারকে মজবুত করতে সাহায্য করবে।

কমলার রস

কমলার রসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি যা একজন ব্যক্তির হারকে মজমুদ করার পাশাপাশি শরীরে ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে। দৈনিক কমলালেবুর রস খেলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকিও হ্রাস পায়।

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ

হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্যালসিয়ামের কোন বিকল্প নেই। ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। শুধু হার নয় শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর করতে ক্যালসিয়াম খুবই উপকারী। যেমন রক্ত জমাট বাধা, পেশি সংকোচন প্রসারন ও হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা। তবে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। নিম্মে ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত লক্ষণ গুলো আলোচনা করা হলো-

১) দুর্বল বোধ করা।

২) ক্লান্তি অনুভব করা।

৩) বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

৪) মৃগী রোগ হতে পারে।

৫) নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে।

৬) ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্কতা হতে পারে।

৭) আঙ্গুল হাত এবং পায়ে ঝিরঝির করতে পারে।

৮) অষ্টিঅপেনিয়া এবং অষ্টি ওপুরোসিস হতে পারে।

৯) দাঁত এবং এনামেলের হাই পলাশিয়া ভোতা ভাবে দাঁতের গোড়ায় বিকাশ এবং দেরি করে দাঁত উঠতে পারে।

১০) ক্ষুধা বাড়তে পারে।

১১) অস্বাভাবিক লেডিস স্পন্দন হতে পারে।

১২) পেশি ব্যথা হাওয়া।

ক্যালসিয়ামের অভাব হওয়ার মূল কারণগুলো

বিভিন্ন কারণে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের অনেক ধরনের ক্ষতির সম্মুখ হতে হয়। চলুন জেনে নিন ক্যালসিয়ামের ঘাটতির মূল কারণ গুলো কি কি;

*ক্যালসিয়ামের ঘাটটির মূল কারণ হলো যারা ডায়েট করে থাকেন তাদের ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য না থাকা।

অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের ফলে অনেক সময় ক্যালসিয়াম শুকিয়ে যায়।

*শরীরের যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দেয়। কারণ ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।

*অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করার ফলে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে।

*শারীরিক দুর্বলতা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়ার অন্যতম কারণ।

*অতিরিক্ত মেদ, চিনিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, প্রোটিন ডায়েট, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সৃষ্টি করে থাকে।

*ক্রীড়াবিদ নারীদের মনোপোজের সময় বেশি ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়।

*মিহি শস্য, মাইট ইত্যাদিতে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয়।

*বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল, তামাক, অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়ামের অভাব হতে পারে।

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত চিকিৎসা

একজন চিকিৎসক প্রথমে ক্লিনিক্যালি বিভিন্ন উপস্থাপনা এবং রক্ষণাবলির উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একজন ব্যক্তির ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত সমস্যার নির্ণয় করতে হলে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় যার মধ্যে রয়েছে সীরাম ক্যালসিয়াম, প্যারাথাইরয়েড হরমোন, সিরাম ফসফেট, ম্যাগনেসিয়াম, ২৫ হাইড্রক্সি,  ভিটামিন ডি এবং ১,২৫ ডাইহাইড্রোক্সি ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা। অনেক সময় দেখা যায় চিকিৎসকরা ক্যালসিয়াম সেন্সিং রিসেপ্টরের জি প্রোটিন সাব ইউনিট অ্যালফা ১১ র জেনেটিক মিউটেশনের পরীক্ষা করাতে বলেন।





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url